ঢাকা, বাংলাদেশ – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কারাবন্দী নেতাদের আত্মীয়দের সাথে অনুষ্ঠান এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। দলটি উদ্বিগ্ন যে, সরকার চাপ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আগামী নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি তাদের নেতাদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন, যাদের অনেকেই সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্রেপ্তার ও আটক হয়েছেন। দলটি অভিযোগ করেছে, সরকার তার সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে মিথ্যা অভিযোগ ব্যবহার করছে।
সরকার ও দলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিএনপির এই ঘোষণা এলো। অর্থনীতি ও আগামী নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ চলছে।
কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। কারাবন্দি নেতাদের মুক্তিরও দাবি জানিয়েছে দলটি।
সরকার বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে তারা বদ্ধপরিকর।
কারাবন্দী নেতাদের স্বজনদের সঙ্গে বিএনপির অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্তকে দলটির দুর্দশা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশব্যাপী প্রতিবাদ মিছিলের জন্য দলটির পরিকল্পনাকে কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি এবং আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য সরকারের উপর চাপ দেওয়ার একটি উপায় হিসাবেও দেখা হচ্ছে।
বিএনপির কর্মকাণ্ড সরকার ও দলের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। পরিস্থিতি কীভাবে মোড় নেবে তা স্পষ্ট নয়, তবে এটা স্পষ্ট যে বিএনপি তাদের কণ্ঠস্বর শোনাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বিএনপি বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের একটি। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা ১০ বছর ক্ষমতায় রয়েছে দলটি। বিএনপি একটি মধ্য-ডান দল যা জাতীয়তাবাদ ও রক্ষণশীলতার নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্য-বাম দল আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ।
দুই পক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং তাদের সম্পর্ক উভয় সহযোগিতা এবং দ্বন্দ্বের সময়কাল দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিএনপি ও সরকারের মধ্যে উত্তেজনা তীব্রভাবে বেড়েছে। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে সরকার মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। কারচুপির অভিযোগ তুলে আসন্ন নির্বাচন বর্জনের ডাকও দিয়েছে দলটি।
সরকার বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে তারা বদ্ধপরিকর।
বিএনপির কারাবন্দি নেতাদের স্বজনদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা এবং দেশব্যাপী প্রতিবাদ মিছিল করার সিদ্ধান্ত একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দলটির এই কর্মকাণ্ড সরকার ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি কীভাবে মোড় নেবে তা স্পষ্ট নয়, তবে এটা স্পষ্ট যে বিএনপি তাদের কণ্ঠস্বর শোনাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বিএনপির কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি লক্ষণ। আসন্ন নির্বাচন একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিষয় হতে পারে। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রয়েছে নিজেদের নেতা বেছে নেওয়ার। এটিও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সহিংসতা কখনই উত্তর হতে পারে না এবং জড়িত সমস্ত পক্ষের শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের পার্থক্যগুলি সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত।