মধ্যপ্রাচ্যে নাটকীয় উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে ইরান ইসরাইলের বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ভোরের দিকে শুরু হওয়া এই হামলা ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে এবং ওই অঞ্চলে একটি পূর্ণাঙ্গ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইরানি সামরিক বাহিনী সমন্বিত হামলায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সংমিশ্রণ মোতায়েন করেছে এবং ইসরায়েলজুড়ে একাধিক বেসামরিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সঠিক পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি, তবে প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্রুত আক্রমণের প্রতিক্রিয়া জানায়, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং আগত হুমকি আটকাতে যুদ্ধবিমান স্ক্র্যাম্বল করে। ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের হামলা নিষ্ক্রিয় করতে এবং বেসামরিক জনগণকে রক্ষার চেষ্টা করায় তীব্র সংঘর্ষ চলছে।
ইরানের আকস্মিক ও আগ্রাসী পদক্ষেপের পেছনের উদ্দেশ্য অস্পষ্ট রয়ে গেছে, তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে এটি আঞ্চলিক প্রভাব এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির সাথে যুক্ত হতে পারে। ইরান দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের নীতির সোচ্চার বিরোধী এবং এ অঞ্চলে তৎপর বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ইরান ও ইসরায়েল উভয়কেই সংযম প্রদর্শনের এবং আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতায় ইন্ধন জোগানো অন্তর্নিহিত সংঘাত নিরসনে সংলাপ ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।
পরিস্থিতি অব্যাহত থাকায়, সবার চোখ এই অঞ্চলের দিকে রয়েছে, পুরো অঞ্চলের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি সহ বিস্তৃত সংঘাতের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। পরিস্থিতি বিকাশের সাথে সাথে আরও আপডেটের জন্য আমাদের সাথে থাকুন।